Flight tickets from Bangladesh to Malaysia are almost triple the price as workers migrate under alleged syndicate – 50,000 workers have migrated since the opening of the labor market
Flight tickets from Bangladesh to Malaysia are tripling in price; reports show this occurrence as workers migrate under an alleged syndicate. After the syndicate in the labor market of Malaysia, it has been alleged that the syndicate has stopped the sale of plane tickets. As a result, the price of a one-way ticket on the Dhaka-Kuala Lumpur route is almost three times higher than the fixed price. Not only the increase in ticket prices, the owners of the travel agencies have informed that there are no vacant seats in the flights of any airlines operating on the Dhaka-Malaysia route in the next 15 days.
Original Article: daily nayadiganta by Monir Hossain 14 January 2023
Those involved in the immigration business believe the airline ticket crisis is slowing the flow of workers into the country. Still, after workers started going to Malaysia again, more than 50,000 workers left Dhaka for employment purposes through various recruiting agencies until December 31 last year. Among them, 21,000 workers left in the month of December. After Friday evening, Association of Travel Agents of Bangladesh (ATAB) Secretary General Abdus Salam Aref told Naya Digant about the ticket crisis for Malaysians, that the price of a one-way ticket from Dhaka to Kuala Lumpur was Tk 30,000. The price of that ticket cannot be bought even with 70 thousand rupees. Not only that, he also said that there are no tickets on this route for the next 15 days.
He said there is pressure due to passenger demand. However, the relevant department of our government can find out why the price of a ticket is increasing like this. Last year (2022) there was a lot of drama between the agency owners of the two countries about whether the workers will go to the Malaysian labor market through syndicate or open for all (everyone). Finally, ending speculation, the MoU agreement and the official announcement of the opening of the labor market through a syndicate consisting of 25 recruiting agencies identified as per the wishes of the Malaysian government. Although the labor market was opened through the syndicate formed by 25 agencies with Dato Amin Nur Gong, the required workers could not leave Bangladesh on time. Because of the syndicate’s extra charges. Before that, Malaysian hiring companies took workers from neighboring countries such as Nepal, Philippines and other source countries to solve their labor crisis. As a result, the rate of departure of workers from Bangladesh has been relatively low, said those associated with the manpower business. However, the Malaysian government recently allowed 50 more agencies to work with 25 syndicates. Later under pressure added the names of 25 more agencies and finally approved a total of 100 agencies. Rumor has it that hundreds of crores of rupees have been invested illegally (hundi) behind these syndicates. And because of the syndicate in the labor market, it is alleged that the workers have to spend five times more than the 80,000 taka set by the government from the country to go to Malaysia.
In this context, the owners of general recruiting agencies say that they have to pay more money to send workers due to various reasons, apart from the money of Dato Amin’s system in Malaysia, the sky-high price of plane tickets, the additional cost of medical examination and BMET. Now the situation has become such that the one-way ticket price of Biman was 30 thousand taka, now they have to buy it for 70 thousand taka. Not available either. Still, due to the expiry of the visa, the workers are being given flights within the stipulated time by buying tickets at higher prices.
After Friday evening, Biman Bangladesh Airlines Managing Director and Chief Executive Officer Shafiul Azim told Naya Digant that the demand for Dhaka Malaysia route flights is now high. Due to increasing demand, 3 additional flights are being operated with Boeing-777 in addition to the regular flights (Boeing-737). In response to a question, he said, today it is only one month since I joined the post of MD of Biman. In the meantime I see the overall affairs of Biman moving positively. Where there are problems, I fix them by sitting with both parties. As a result, there has been no problem so far. Regarding the Canada flight, MD said, I am getting a very good response. Still some negative news is being published about us in some media. Which makes the mind sad. He commented that I am losing my passion for work, which is not desirable at all.
Yesterday, a person in charge of marketing and sales of Biman Bangladesh Airlines told Naya Digant, currently, besides Biman Bangladesh Airlines, US Bangla, Malaysian Airlines, Air Asia, Malindo Air are running regular flights. In this, Biman has one flight every day with Boeing-737. When asked why the price of tickets tripled, the official said, there is a crisis of tickets due to the demand of workers, students and other professions in Malaysia. For this we have already decided to operate three additional flights in addition to regular flights, which will run on January 15, January 22 and February 3. These flights will be operated by Boeing-777. Its seat capacity is 419. In response to a question, he said, we have opened the ticket system for these flights. Buyers are getting 2 hours. Although the tickets are gone within 5 minutes of opening. His idea is that agencies are cutting tickets as soon as they are submitted to the ticketing system. He said, I can say with a challenge that no seat is being blocked on any Malaysia-bound flight. Everything is open.
A member of Atab said last night that air tickets, like the Malaysian labor market, have also fallen under the grip of syndicates. Due to which the agencies are forced to buy tickets for three times the fixed price for sending workers. Not only Biman Bangladesh Airlines, other airlines also have the same situation. Those concerned, including expatriate Bangladeshis, think that after investigating this matter, action should be taken against those involved in some syndicates. Otherwise, the cost of immigration to Malaysia, especially for workers, will continue to increase.
(Original Article) মালয়েশিয়াগামী বিমান টিকিট তিনগুণ দামেও মিলছে না
শ্রমবাজার চালুর পর ৫০ হাজার শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছে
মনির হোসেন ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫, আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৪
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের পর এবার বিমানের টিকিট বিক্রিতেও সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলেঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটের ওয়ানওয়ে একটি টিকিটের মূল্য নির্ধারিত দামের প্রায় তিনগুণ বেশি দিয়েও মিলছে না। শুধু টিকিটের দামবৃদ্ধি নয়, আগামী ১৫ দিনে ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটে চলাচলকারী কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটেই আসন খালি নেই বলে ট্র্যাভেলএজেন্সিগুলোর মালিকরা জানিয়ে দিয়েছেন।
বিমানের টিকিট সঙ্কটের কারণে দেশটিতে শ্রমিক যাওয়ার গতি কমছে বলে মনে করছেন অভিবাসন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তরা। তারপরওনতুন করে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়া শুরু হওয়ার পর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সিরমাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসেই গিয়েছে পৌনে ২১ হাজার শ্রমিক। গতকাল শুক্রবারসন্ধ্যার পর অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ নয়া দিগন্তকেমালয়েশিয়াগামীদের টিকিট সঙ্কট থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা-কুয়ালালামপুরগামী ওয়ানওয়ে একটি টিকিটের দাম যেখানে ৩০ হাজারটাকা ছিল। সেই টিকিটের দামই এখন ৭০ হাজার টাকা দিয়েও কেনা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত এই রুটে কোনোটিকিট নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীর চাহিদার কারণে চাপ আছে। তবে একটা টিকিটের দাম এভাবে কি কারণে বাড়ছে সেটা আমাদের সরকারের সংশ্লিষ্টদফতর খতিয়ে দেখতে পারেন। গত বছর (২০২২) সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুলবে নাকি ওপেন ফর অল (সবাই) মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারেশ্রমিক যাবে এ নিয়ে দুই দেশের এজেন্সি মালিকদের নিয়ে চলে অনেক নাটকীয়তা। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমওইউ চুক্তি ওমালয়েশিয়া সরকারের ইচ্ছানুযায়ী চিহ্নিত ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির সমন্বয়েই গঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমবাজার উন্মুক্তের আনুষ্ঠানিকঘোষণা আসে। দাতো আমিন নুর গংদের নিয়ে ২৫ এজেন্সির গঠিত ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমবাজার উন্মুুক্ত হলেও যথাসময়েকাক্সিক্ষত শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে যেতে পারেনি। কারণ সিন্ডিকেটের অতিরিক্ত চার্জ। তার আগেই মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীকোম্পানিগুলো তাদের শ্রমিক সঙ্কট কাটাতে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য সোর্স কান্ট্রিভুক্ত দেশ থেকে কর্মী নিয়ে ফেলে।ফলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক যাওয়ার হার তুলনামূলক অনেক কম গেছে বলে জনশক্তি ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তরা জানিয়েছেন। এরপরওমালয়েশিয়া সরকার ২৫ সিন্ডিকেটের সাথে সম্প্রতি আরো ৫০টি এজেন্সিকে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। পরবর্তীতে চাপে পড়ে আরো২৫টি এজেন্সির নাম যুক্ত করে মোট ১০০টি এজেন্সিকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয়। এসব সিন্ডিকেট করার পেছনে শত শত কোটি টাকাঅবৈধ উপায়ে (হুন্ডি) বিনিয়োগ হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আর শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হওয়ার কারণে দেশ থেকে সরকার নির্ধারিত৮০ হাজার টাকার বিপরীতে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত টাকা খরচ করেই শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব প্রসঙ্গে সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার দাতো আমিনের সিস্টেমের টাকা, বিমানের টিকিটের দামআকাশচুম্বী, মেডিক্যাল পরীক্ষা ও বিএমইটির অতিরিক্ত খরচ ছাড়াও নানা কারণে তাদেরকে বেশি টাকা দিয়েই শ্রমিক পাঠানোর কাজসারতে হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে বিমানের যে ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম আগে ৩০ হাজার টাকা ছিল সেটি এখন তাদেরকেকিনতে হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। তাও পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বেশি দামে টিকিট কিনেইশ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফ্লাইট দেয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম নয়াদিগন্তকে বলেন, ঢাকা মালয়েশিয়া রুটের ফ্লাইটগুলোতে এখন ডিমান্ড বেশি। চাহিদা বাড়ার কারণে নিয়মিত ফ্লাইটের বোয়িং-৭৩৭) পাশাপাশি বোয়িং-৭৭৭ দিয়ে অতিরিক্ত আরো ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার বিমানেরএমডি পদে যোগদানের আজ এক মাস হলো মাত্র। এরই মধ্যে আমি বিমানের সার্বিক বিষয়গুলো দেখছি পজিটিভলিই এগোচ্ছে। যেখানেসমস্যা আছে সেগুলো উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আমি ঠিক করে দিচ্ছি। যার ফলে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। কানাডা ফ্লাইটেরব্যাপারে এমডি বলেন, খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। তারপরও কিছু মিডিয়ায় আমাদের নিয়ে কিছু নেগেটিভ সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। যা দেখেমনটা খারাপ হয়ে যায়। কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলছি, যা মোটেও কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের একজন দায়িত্বশীল নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমানে বিমানবাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও ইউএস বাংলা, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, মালিন্দো এয়ার নিয়মিত ফ্লাইট চালাচ্ছে। এরমধ্যে বিমানের প্রতিদিন বোয়িং-৭৩৭ দিয়ে একটি করে ফ্লাইট চলছে। টিকিটের দাম তিন গুণ কেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক, স্টুডেন্টসহ অন্যান্য পেশার লোকজনের চাহিদা থাকায় টিকিটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর জন্য আমরা ইতোমধ্যেনিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরো তিনটি ফ্লাইট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা ১৫ জানুয়ারি, ২২ জানুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারিচলবে। এসব ফ্লাইট বোয়িং-৭৭৭ দিয়ে চালাব। এর সিট ক্যাপাসিটি ৪১৯। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব ফ্লাইটের টিকিট সিস্টেমআমরা ওপেন করে দিয়েছি। ক্রেতারা সময় পাচ্ছেন ২ ঘণ্টা। যদিও ওপেন করার ৫ মিনিটের মধ্যে টিকিট নাই হয়ে যাচ্ছে। তার ধারণাটিকিট সিস্টেমে দেয়ার সাথে সাথে এজেন্সিগুলো টিকিট কেটে ফেলছে। তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, মালয়েশিয়াগামীবিমানের কোনো ফ্লাইটের সিট ব্লক করা হচ্ছে না। সবকিছুই ওপেন।
গত রাতে আটাবের একজন সদস্য বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের মতো বিমানের টিকিটও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে। যার কারণেশ্রমিক পাঠানোর জন্য নির্ধারিত দামের তিন গুণ টাকায় টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছে এজেন্সিগুলো। শুধু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সনয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সেরও একই অবস্থা। এ বিষয়ে তদন্ত করে কতিপয় সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিতবলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সংশ্লিষ্টরা। নতুবা মালয়েশিয়াগামী বিশেষ করে শ্রমিকদের অভিবাসন ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়তেইথাকবে।